ধর্মপাশায় জলমহাল সেচে মাছ শিকারের আয়োজন,বোরো চাষ ব্যাহতের শঙ্কা
- আপলোড সময় : ৩১-০১-২০২৫ ১২:০৪:১৮ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ৩১-০১-২০২৫ ১২:০৪:১৮ পূর্বাহ্ন
ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার মেধা বিল জলমহালটির ইজারাদারের বিরুদ্ধে ওই জলমহালটিতে তিনটি স্যালোমেশিন বসিয়ে পানি সেচে অন্যত্র স্থানান্তর করায় এলাকার কৃষকদের পক্ষে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য গতকাল বৃহ¯পতিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জলমহালটির তলা শুকিয়ে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে গত সোমবার সকাল থেকে এই কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে করে চলতি মৌসুমে বোরো জমিতে পানি সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে কপাল পুড়বে স্থানীয় কৃষকদের।
এলাকাবাসী ও জলমহালটি ইজারা পাওয়া সমিতির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের মেধা বিল জলমহালটি জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনাধীন। ১৪৩০ থেকে ১৪৩৫ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত ছয় বছরের জন্য বাৎসরিক ২৩লাখ টাকা ইজারামূল্যসহ অন্যান্য পাওনাদি পরিশোধ সাপেক্ষে এটি ইজারা পায় স্থানীয় সমতা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন কৃষক বলেন, এই মেধা বিল জলমহাল সংলগ্ন মেধা হাওরে উপজেলার গাবী, খলাপড়া, কাকিয়াম, দেশান্তর ও মাহমুদপুর গ্রামের কৃষকের ১৫০ হেক্টর বোরো জমি রয়েছে। জলমহালটির তলা শুকিয়ে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে ইজরাদারের নির্দেশে তাঁর নিয়োজিত লোকজন গত সোমবার সকাল ১১টার জলমহালটির একপাশে তিনটি স্যালোমেশিন বসিয়ে জলমহালটির পানি সেচে পাশের মানিয়া বিলে স্থানান্তর করে আসছেন।
উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুর রউফ (৪১) বলেন, আমি নিজেও কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত। এই জলমহালটির তলা শুকিয়ে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে এখানে তিনটি স্যালোমেশিন বসিয়ে এটির পানি সেচে পাশের মানিয়া বিলে স্থানান্তর করা হচ্ছে। এতে করে বোরো জমিতে সেচ কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। জলমহালটি থেকে স্যালোমেশিন দিয়ে পানি সেচ বন্ধ করার জন্য এলাকার কৃষকদের পক্ষে বিষয়টি নিয়ে আমি ইউএনও স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।
মেধা বিল জলমহালটির ইজারাদার ও উপজেলার সমতা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, স্যালোমেশিন বসিয়ে আমাদের জলমহালটির তলা শুকিয়ে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে এটির পানি অন্যত্র স্থানান্তর করার অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। স্থানীয় একটি পক্ষ আমাদেরকে হয়রানি ও মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জনি রায় বলেন,এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ আমি পেয়েছি। তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ